করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় লকডাউনের ফলে অনেকেই কাজ হারিয়ে ঘরে বসে আছেন। উপার্জন কমে যাওয়ায় অনেকেই ভুগছেন খাদ্য সংকটে। রাস্তায় এবং অলিগলিতে খেটে খাওয়া মানুষের আহাজারি প্রায়ই দেখা যায়।

এমতাবস্থায় আজ শনিবার মোহাম্মদপুর এলাকায় কিছু পরিবারের মাঝে ৭ দিনের খাবার হিসাবে চাল, ডাল, আলু, লবণ সমৃদ্ধ এক ব্যাগ ভালবাসা এবং ননমেডিকেল কাপড়ের মাস্ক বিতরণ করেছে সেফটি ম্যানেজমেন্ট ফাউন্ডেশন।
সেফটি ম্যানেজমেন্ট ফাউন্ডেশন-এর লালমাটিয়াস্থ কার্যআলয়ে উক্ত কর্মসূচির শুভ উদ্বোধন করেন সেফটি ম্যানেজমেন্ট ফাউন্ডেশনের অন্যতম উপদেষ্টা জনাব রুস্তম আলী খোকন। এসময় অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন সেফটি ম্যানেজমেন্ট ফাউন্ডেশনের সিনিয়র ভাইসচেয়ারম্যান জনাব এবং গ্রীন ভয়েস- এর প্রধান উপদেষ্টা জনাব আলমগীর কবির, সেফটি ম্যানেজমেন্ট ফাউন্ডেশনের কোষাধ্যক্ষ জনাব মাইনুল ইসলাম মুন্না এবং সেফটি ম্যানেজমেন্ট ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান জনাব সাখাওয়াত হোসেন স্বপন।

মাস্ক ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণের সময় জনাব রুস্তম আলী খোকন “বিত্তবানদের প্রতি আহবান জানান করোনালীন লকডাউনে কর্মহীনদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য”।
জনাব আলমগীর কবির বলেন, “খাদ্য সামগ্রী বিতরণের পাশাপাশি জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম চালাতে হবে এবং নিজেদের জায়গা থেকে সচেতন হতে হবে তাহলে করোনা মোকাবিলায় আমরা সক্ষম হবো।”

সেফটি ম্যানেজমেন্ট ফাউন্ডেশন-এর চেয়ারম্যান জনাব সাখাওয়াত স্বপন বলেন, “আমরা যদি সচেতন হই, স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করি এবং সঠিক নিয়ম অনুসরণ করে করোনার টিকা নিতে পারি তাহলেই করোনা থেকে বাঁচা সম্ভব হবে।” এ ছাড়া তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে করোনার টিকার জন্য সুরক্ষা এপ্সের মাধ্যমে খেটে খাওয়া মানুষের নিবন্ধন করে দিতে যুব সমাজকে আহবান জানান তিনি।

উল্লেখ থাকে যে, করোনার প্রকোপ দেখা দেয়ার পরই সেফটি ম্যানেজমেন্ট ফাউন্ডেশন জনসচেতনতা বৃদ্ধি, মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ, খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করে আসছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ঝুঁকি হ্রাস ক্যাটাগোরিতে সাম্প্রতিক জয় বাংলা ইয়ুথ এওয়ার্ড-২০২০ অর্জন করেছে সেফটি ম্যানেজমেন্ট ফাউন্ডেশন।