সেফটি ম্যানেজমেন্ট ফাউন্ডেশন-এর ৬ষ্ঠ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে “দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় স্থানীয়দের যুক্ত করার গুরত্ব” শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠিত হল আজ ২৪ এপ্রিল ২০২১ খ্রিস্টাব্দ তারিখে।

কোভিড-১৯ পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে জুম এপ্স ব্যবহার করে অনলাইনে এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। সেফটি ম্যানেজমেন্ট ফাউন্ডেশন এর সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান এবং গ্রীন ভয়েস এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান সমন্বয়ক জনাব আলমগীর কবিরের সভাপতিত্ব এবং সেফটি ম্যানেজমেন্ট ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক মোনছেফা আক্তার তৃপ্তির সঞ্চালনায় প্রায় দুই ঘন্টা ব্যাপী এই আলোচনার শুরুতেই কিনোট উপস্থাপন করেন সেফটি ম্যানেজমেন্ট ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান জনাব সাখাওয়াত হোসেন স্বপন। এসময় ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, ভূরুঙ্গামারী উন্নয়ন সংস্থা, গ্রীন ভয়েস, কুড়িগ্রাম সমিতি, ওয়াটার এইড, প্রাক্টিকেল একশনসহ যাদের পৃষ্ঠপোষকতা অথবা যাদের সৌজন্যে কাজ করা হয়েছে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান।

এসময় আলোচনায় অংশ গ্রহণ করে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ বিশেষজ্ঞ জনাব ড. মাহমুদুল ইসলাম সেলিম বলেন- দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় ছাড় দেবার কোন জায়গা নেই এবং স্থানীয়দের যুক্ত করে করেই দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা করা সম্ভব তবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় গ্রাজুয়েটদেরকেও ক্ষেত্র অনুযায়ী যুক্ত করতে হবে।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স-এর উপসহকারী পরিচালক জনাব খন্দকার আব্দুল জলিল বলেন- দেশে ভলান্টিয়ারিজম এখনও পরিপূর্ণভাবে চালু হয় নি, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আরো স্বেচ্ছাসেবক তৈরি করতে হবে। সেফটি ম্যানেজমেন্ট ফাউন্ডেশন যেভাবে কাজ করছে তাতে খুব দ্রুত দেশে আরো বেশি সংখ্যক প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবক পাবো আমরা।

ফুড এন্ড এগ্রিকালচার অরগানাইজেশন অব ইউনাইটেড নেশন্স, সাউথ সুদান এর হেড অব ইমার্জেন্সী জনাব মোঃ মেজবানুর রহমান লিমন বলেন- স্থানীয়দেরকে যদি অগ্নিকান্ড, ভূমিকম্প, সড়ক নিরাপত্তা, জরুরী পদ্ধতি, প্রাথমিক চিকিৎসা, সিপিআর বিষয়ে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ম্যাসেজ দেয়া এবং পরিস্থিতি অনুযায়ী করনীয় বিষয়সমূহ শিক্ষা দেয়া যায় তাহলে দুর্যোগ ঝুঁকি কমে আসবে। এক্ষেত্রে সেফটি ম্যানেজমেন্ট ফাউন্ডেশন প্রশংসনীয় কাজ করে যাচ্ছে। তবে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, ক্লাব অথবা সমিতি গুলোর সাথে যৌথভাবে কাজ করে প্রশিক্ষণ করানো যেতে পারে।

ইন্সটিটিউট অব ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক মোঃ জুয়েল মিয়া বলেন- কোন এলাকায় কোন ধরনের দুর্যোগ হয়, কোথায় কি ধরনের ঝুঁকি বেশি তা নিরূপন করতে হবে এরপর স্থানীয়দের কোন দুর্যোগে কি ধরনের প্রভাব পড়ছে তা খুঁজে বের করতে হবে। নারী, গর্ভবতী মহিলা, শিশু, বৃদ্ধ, প্রতিবন্ধীসহ ভালনারেবল গ্রুপকে গুরুত্ব দিতে হবে। সেফটি ম্যানেজমেন্ট ফাউন্ডেশন-এর কার্যক্রম একদিন বিশ্ব দরবারে ইতিহাস সৃষ্টি করবে বলে আশা করেন।

উক্ত আলোচনায় অথিতি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার মোজাম্মেল হক সরকার, সাবেক প্রিন্সিপাল সায়েন্টিক অফিসার, SPARRSO, জনাব রুস্তম আলী খোকন, অন্যতম উপদেষ্টা, সেফটি ম্যানেজমেন্ট ফাউন্ডেশন, জনাব সাইদুল আবেদীন ডলার, উপদেষ্টা, সেফটি ম্যানেজমেন্ট ফাউন্ডেশন।

এসময় সেফটি ম্যানেজমেন্ট ফাউন্ডেশনের কোষাধ্যক্ষ মাইনুল হোসেন মুন্না, আইটি উপদেষ্টা ইবনে হাসনাত মোঃ সালাউদ্দিন, এবং গ্রীন ভয়েস-এর বিভিন্ন ইউনিটের সমন্বয়ক, সভাপতি, সম্পাদক, সদস্য ও সেফটি ম্যানেজমেন্ট ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবকবৃন্দ যুক্ত হয়েছিলেন।
স্থানীয়দের প্রশিক্ষিত করার মাধ্যমে দুর্যোগ মোকাবেলায় সেফটি ম্যানেজমেন্ট ফাউন্ডেশন গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। পরিশেষে কোভিড-১৯ থেকে বিশ্ব দ্রুত মুক্তি পাবে এমন প্রত্যাশায় আলোচনার সমাপ্তি ঘোষণা করেন জনাব আলমগীর কবির।
জনাব সাইদুল আবেদীন ডলার, উপদেষ্টা, সেফটি ম্যানেজমেন্ট ফাউন্ডেশন






Hello, after reading this amazing article i
am as well happy to share mmy familiarity
here with mates!
Hello there! Would yoou mjnd if I share your blog with my twitter group?
There’s a lot of people that I tink would really appreckate your
content.Please let me know. Thanks!