
বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। প্রতিবছরই বন্যা এখানে হানা দেয়, প্রাণ কেড়ে নেয় অনেকের। ক্ষতি হয় কোটি কোটি টাকার সম্পদ। দেশে বিভিন্ন সংকট দেখা দেয়। ঝুঁকির মুখে পড়ে নারী, শিশু, বয়স্ক মানুষ, বন্য ও গৃহপালিত পশু-পাখী।
বন্যাকালীণ ও বন্যাপরবর্তী প্রাদুর্ভাব বাড়ে বিভিন্ন বন্যাজনিত রোগের। দুর্গত এলাকায় ডায়রিয়া, চর্মরোগ, চোখের প্রদাহ, শ্বাসনালীর প্রদাহসহ নানা রোগে হাজার মানুষ আক্রান্ত হয় হাজার হাজার মানুষ।

এখনই সময় সচেতন হবার। দেশে বর্ষাকাল শুরু হয়েছে। বন্যা ব্যবস্থাপনায় সরকারী, বেসরকারী ও ব্যক্তি উদ্যোগে পদক্ষেপ নেয়া উচিৎ।
তবে স্থানীয়দের জন্য কিছু প্রস্তুতি রাখা উচিৎ, যেমন-
১। আগে থেকেই বাড়ির ভিটা, নলকূপ, টয়লেট যত দূর সম্ভব উঁচু স্থানে করা। এক্ষেত্রে অতীতের বন্যার পানির উচ্চতার মাত্রা মনে রাখতে হবে।
২। মুড়ি, চিড়া, গুড়, চিনি জাতীয় শুকনো খাবার ঘরে রাখা
৩। বিশুদ্ধ খাবার পানি সংরক্ষণের জন্য চৌবাচ্চার ব্যবস্থা ব্যবস্থা রাখা
৪। পানিবাহিত বিভিন্ন রোগের প্রয়োজনীয় ঔষধসহ প্রাথমিক চিকিৎসা বাক্স রাখা
৫। সহজে বহনযোগ্য চুলা ও রান্না করার জন্য শুকনো জ্বালানির ব্যবস্থা করতে হবে
৬। বন্যার পানি বিপদসীমার উপর প্রবাহিত হলে নিরাপদ স্থানে যাবার পরিকল্পনা রাখা
৭। মূল্যবান জিনিস-পত্র আগে থেকে নিরাপদে রাখা
৮। শস্য ও বীজ সংরক্ষণের জন্য নিরাপদ স্থানে মাচা তৈরি করা
৯। গৃহপালিত পশুর জন্য নিরাপদ স্থান ঠিক করে রাখা
১০। বাড়ির চারপাশে বৃক্ষ রোপণ করা
১১। শিশু, নারী, প্রতিবন্ধি ও বয়স্কদের জন্য আগে থেকেই নিরাপদ স্থান নির্বাচন করা ইত্যাদি।