বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা চলছে। উদ্যোক্তা অথবা বিনিয়োগকারীরাও নতুন বিনিয়োগে ভয় পাচ্ছেন। শিল্প প্রতিষ্ঠানে হর হামেশাই ঘটছে দুর্ঘটনা। এরই মাঝে সেইফটি ম্যানেজমেন্ট ফাউন্ডেশন- এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান জনাব সাখাওয়াত স্বপন উদ্যোক্তা অথবা বিনিয়োগকারীদের জন্য পরামর্শ দিচ্ছেন কর্ম পরিবেশ উন্নয়নে পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি বিষয়ে মনযোগ দিতে।

তিনি বলেন- আমাদের দেশের সস্তা শ্রম, পর্যাপ্ত পানি এবং গ্যাসের জন্য বিনিয়োগের এক দারুণ ক্ষেত্র হচ্ছে বাংলাদেশ। কিন্তু ব্যবসায়ীদের প্রধান লক্ষ্য মুনাফা অর্জন, তাই তাঁরা অন্য কোন বিষয়ে মনযোগ দিতে চান না। কিন্তু বৈশ্বিক ব্যবসায় জগতে টিকে থাকতে হলে অবশ্যই কর্মীদের পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি বিষয়ে মনযোগ দিতে হবে। অন্যথায় ক্রমাগত নিষেধাজ্ঞায় পড়তে হবে অচিরেই।
ইতোমধ্যে তৈরি পোষাক খাতের উৎপাদনকারীদের জন্য স্বস্থ্য ও সেইফটির সাথে জড়িত বিষয় সমূহকে বাধ্যতামূলকভাবে মানতে হচ্ছে। আভাস পাওয়া যাচ্ছে – আগামী ২০২৬ সালের পর সকল কারখানাকে সকল নিয়ম মেনে উৎপাদন করতে হবে। নিরাপদ কর্ম পরিবেশই অধীক উৎপাদন এবং কাঙ্খিত মুনাফার নিশ্চয়তা দিতে পারে।

এ ক্ষেত্রে জনাব সাখাওয়াত স্বপনের পরামর্শ হচ্ছে-
নিজস্ব উদ্যেগে শ্রমিকদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। সেইফটি কমিটিকে কার্যকর করতে হবে। কর্মক্ষেত্রে পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা ঠিক না থাকলে সাধারণ শ্রমিক ও সেফটি কমিটিকে জোরালো উদ্যোগ নিতে হবে। কলকবজা, ভূমি, আসবাব ইত্যাদি উপকরণের মতো পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার ব্যয়কেও প্রতিষ্ঠানের ব্যয়ের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
সুতরাং উদ্যোক্ত অথবা বিনিয়োগকারীরা যখন পেশাগত স্বস্থ্য ও সেইফটি কে বিনিয়োগ মনে করবেন তখনই নিরাপদ কর্ম পরিবেশ গড়ে উঠবে।